Bangla story | রাজকন্যা হূরিয়া | bangla choti

 ❝রিভিউ পোস্ট❞

গল্পের নামঃ রাজকন্যা হূরিয়া। 

ক্যাটারগরিঃ থ্রিলার এবং রোমান্টিক। 

মেইন চরিত্রঃ রাজকন্যা হূরিয়া, জিন্নাত(জ্বীন) এবং রাজকুমার আয়াস। 


রাজকন্যা হূরিয়া
Bangla story | রাজকন্যা হূরিয়া | bangla golpo 


গল্পের থিম; গল্পটা শুরু হয়েছিলো রাজকন্যার কাতর কন্ঠে গাওয়া সেই গানটি দিয়ে,'তুমি মিষ্টি করে দুষ্ট বলো,শুনতে ভালো লাগে। আমার এই মন ভরে যায় মধুর অনুরাগে।' আরও অনেক লাইন। যে লাইন গুলোয় প্রকাশ পেয়েছিলো রাজকন্যার দুঃখ, কষ্ট গুলো। যা সে সারাজীবন বুকের মাঝে আগলে রেখে বড় হয়। কেউ কোনদিন না বুঝলেও রাজকুমার তা এক লহমায় পড়ে নেয়। এরপর শুরু হয় রাজকন্যার যুদ্ধ। নিজের পরিবারকে রক্ষা করার যুদ্ধ। যে যুদ্ধ সে একা হাতে শুরু থেকে শেষ অব্দি লড়াই করেছে। যে যুদ্ধ ছিলো রাজকুমারের বিরুদ্ধে। যদিও অবশ্য সে জানতো না রাজকুমার আসলে তার ফুপুআম্মার সন্তান। রাজকুমারও জানতো না নিজের আসল পরিচয়। কিন্তু যখন সে রাজকন্যার প্রেমে পড়ে তখন স্বইচ্ছায়ই ফিরে আসে। ভালো হয়ে যায়। রাজকন্যার কাছে সবটা স্বীকার করে যায়। অবশ্য সে চিরকালই চেয়েছিলো ঐ অন্ধকার জগত থেকে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু তার পাপ কোনোদিন বের হতে দেয়না। রাজকন্যা হূরিয়ার বদৌলতে সে বেরিয়ে আসতে পারে। আর অবশেষে ফিরে পায় নিজের পরিচয়। রাজকন্যা বরাবর ছিলো সত্যের পথে অটল। যার দরুন সে নিজের আপনজনদেরও কোনোদিন ছাড়েনি। 


একদল ডাকাত আর রাজকন্যার এই যুদ্ধ হয় কেবল রাজ্য এবং সিংহাসনের জন্য। যেটা পেতে পেতেও পায়না ডাকাতদল। শেষ অব্দি নিজেদের গা বাঁচাতে পালায় তারা।


আয়াসঃ রাজকুমার আয়াস যে কি না ডাকাত ছিলো৷ অবশ্য যেটা তার আসল পরিচয় নয়। সে ডাকাত হয়েও রাজকন্যাকে ভালোবাসে। এবং সেই ভালোবাসার টানেই অতীতকে মাড়িয়ে ভালো করে বাঁচার স্বপ্ন বুনে।


জিন্নাতঃ জিন্নাত হলো এক সুন্দরী জীন। মানে পরী। যে রাজকন্যার সবচেয়ে প্রিয় ছিলো। রাজকন্যাকেও খুব ভালোবাসতো জিন্নাত। চর সব বিপদে রাজকন্যার পাশে ছায়ার মতো থেকেছে।


সুফিঃ রাজকন্যার ঘোড়া। ওর আর রাজকন্যার বন্ধুত্বপূর্ন ভালোবাসা বরাবরই মুগ্ধ করেছে আমায়।


বাকি প্রত্যেকটা চরিত্রই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। যেন ওদের ছাড়া পুরো উপন্যাসটা অসম্পূর্ণ মনে হতো৷ যেমন, রেদোয়ান, চাচাজান,সেনাপতি আতাউল,কবিরাজ মশাই যাকে নৃশংস ভাবে হ/ত্যা করা হয়, আরোভি -কবিরাজ মশাইয়ের মেয়ে। যার জীবন বাঁচাতে কবিরাজ মশাই রানীমাকে মারার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন কিন্তু শেষ অব্দি বাঁচাতে পারেননি! নৃশংস ভাবে তাকেও মা/রা হয়, বেগমজী,নাজিমউদ্দীন, ওস্তাদজী এবং মেরাজ। 


সবচেয়ে ভয়ানক চরিত্র ছিলো ওস্তাদজীর।  যে কিনা বন্ধুর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। 


রেটিংঃ গল্পটা ১০এর মধ্যে ৮/৯ এর চেয়েও বেশি পাওয়ার যোগ্য। ( আমার ব্যক্তিগত অপিনিয়ন)


সব মিলিয়ে অসাধারণ গল্প। ভালোবাসা লেখিকা আপু।❤️❤️❤️


Online income 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.