জীবন গল্প - শুধু তোমারই জন্য পর্ব_৪০ - bangla choti golpo

 

শুধু তোমারই জন্য

পর্ব_৪০

জীবন গল্প  - শুধু তোমারই জন্য  পর্ব_৪০ - bangla choti golpo
জীবন গল্প  - শুধু তোমারই জন্য  পর্ব_৪০ - bangla choti golpo 


তিনদিন পরের কথা। আনিতা আর রোদেলা বাসা থেকে বের হয়েছে বিকেলে। আজ অবশ্য শুভ সাথেই আছে। প্রথম বারের মতো একা বের হওয়ার সাহস করেনি আর। আহিয়ান এসময়ে অফিসে আর ফাইয়াজ রুমে পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছে। আজ অফিস যায়নি। ফাইয়াজকে বলে তিনজনে বের হয় বাসা থেকে। আনিতারা রাস্তায় বের হয়ে বেশ কিছুটা দূর যেতেই পাশের একটা দোকান থেকে সেই ছেলেটা এগিয়ে এসে আনিতার পথ আটকে দাঁড়ায়। দেখে মনে হচ্ছে কথা বলতে চাচ্ছে। আনিতা সরে গিয়ে শুভর অন্যপাশে দাঁড়ায়। শুভ ছেলেটার আগাগোড়া ভালো করে দেখে নিলো। দেখে ফাইয়াজদের বয়সী মনে হচ্ছে। এলাকার বড় ভাই হবে। তাই শুভ নিজেই জিজ্ঞেস করে,


--"কিছু বলবেন ভাই?


--"ওর নাম কি?"


ছেলেটা রোদেলা আর আনিতা ওদের দুজনের দিকে ইশারা করে বলল। শুভ ওদের দুজনের দিকেই একবার তাকায়। আবার ঘুরে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলে,


--"এখানে তো দুজন আছে৷ আপনি কার নাম জিজ্ঞেস করছেন?"


--"ওই তো যে মেয়েটা এখান থেকে সরে তোমার ওখানে গিয়ে দাঁড়ালো। লাল জামা পড়া মেয়েটা।"


--"ওওওহহহ ওর নাম? কেন ভাই ওর নাম দিয়ে কি করবেন?"


--"শুভ চল তো এখান থেকে। পড়ে উনি দেখলে আমার জন্য খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু।"


আনিতা শুভর বাহু ধরে টেনে শুভর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে কথাটা বলল। রোদেলাও ইশারা করছে এখান থেকে যাওয়ার জন্য। শুভ ঠিক ভাবে দাঁড়িয়ে ছেলেটাকে বলল,


--"আমাদের একটু তাড়া আছে ভাইয়া। আজ আসি?"


এই বলে ওরা পাশ কাটিয়ে চলে আসতে নিলেই ছেলেটা পিছু ডেকে আনিতাকে উদ্দেশ্য করে বলে,


--"আমার সাথে এখানে দেখলে কি খারাপ হবে শুনি? কাকে ভয় পাচ্ছো তুমি? কেউ বিরক্ত করছে তোমায়? তাহলে বলো আমায়। দেখবে এরপর থেকে আর তোমার ধারের কাছেও ঘেঁষার চেষ্টা করবে না।"


আনিতা কিছু না বলে রোদেলার হাত ধরে চলে যাচ্ছিলো। শুভও আছে ওদের সাথে। ছেলেটা দৌড়ে গিয়ে আবার আনিতার সামনে দাঁড়ায়। আনিতার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে বলে,


--"তোমার নামটা বললে না তো।"


--"ভাই পথ ছাড়ুন না প্লিজ। এটা কোন ধরনের অসভ্যতামি? রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?"


শুভর কথায় ছেলেটার বিন্দুমাত্র কোনো ভাবাবেগ হলো না। ঠায় ওদের সামনে পথ আটকে দাঁড়িয়ে আনিতার দিকে তাকিয়ে আছে। আনিতার দিকে চোখ রেখেই ছেলেটা ভাবলেশহীন ভাবে বলে,


--"ভালো লেগেছে আমার ওকে।"


ছেলেটার কথায় ওরা তিনজনেই ভ্রু কুঁচকে তাকায়। আনিতা সঙ্গে সঙ্গেই চোখ নামিয়ে নিলো। কেননা ছেলেটা ওর থেকে চোখ সরানো তো দূরে থাক চোখের পলক অব্দি ফেলছে না। শুভ কিছু বলার আগেই পাশের একটা চায়ের দোকান থেকে একটা ছেলে বের হয়ে এসে ওদের সামনেই দাঁড়ালো। ছেলেটাকে দেখেই আনিতা রোদেলা চট করে চিনে ফেলল। এটা তো সেই ছেলেটা। যার কাছে আহিয়ান ওর বাইকের চাবি দিয়ে বাসায় বাইক রাখতে পাঠিয়েছিলো। কি যেন একটা নাম বললো সেদিন আহিয়ান। শান্ত। হ্যাঁ শান্তই তো বলেছিলো। যে ছেলেটা আনিতা ওদের পথ আটকে দাঁড়িয়ে ছিলে তার দিকে তাকিয়ে শান্ত বলে,


--"রিদমান ভাই___ভাবীরে ভালো লেগে লাভ নেই। ভাবী আগে থেকেই বুকড আছে। তার দিকে নজর না দেওয়াই ভালো।"


শান্তর কথায় আনিতা কেশে উঠে। রোদেলা হালকা ভাবে আনিতার পিঠে থাপ্পড় মারে দু/একটা। রিদমান শান্তকে বলে,


--"ভাবী ডাকছিস তার মানে আমাদেরর এলাকার বা চেনাজানা কেউই কিন্তু কে সে? পাঁচ দিনও হলো না আমাদের বিল্ডিংয়ে নতুন একটা মেয়ে এসেছে। আমিই জানলাম দুই দিন আগে। আর তুই বলছিস এর মাঝেই ও বুকিং হয়ে গেছে? এটাও আমাকে বিশ্বাস করতে হবে?"


--"হ্যাঁ হবে তো। আমাদের বড় ভাইয়ের নিজস্ব প্রপার্টি হলো ভাবী। সো দূরে থাকুন সুস্থ স্বাভাবিক থাকুন। কাছে এসে হাত বাড়ানোর চেষ্টা করলে আপনার হাত হাতের জায়গায় থাকবে না।"


--"থ্রেট করছিস আমাকে?"


--"এটা আমার কথা না। বড় ভাইয়ের কথা।"


--"কে তোর বড় ভাই শুনি?"


শান্ত রিদমানের কথার উত্তর না দিয়ে আনিতার দিকে তাকালো। আনিতা ওরা তখনো এক কোনে দাঁড়িয়ে ছিলো। শান্ত আনিতার সামনে গিয়ে হাসিমুখে বলে,


--"ভাবী আপনি নিশ্চিন্তে যেতে পারেন। আপনাকে কেউ বিরক্ত করবে না। আর বিরক্ত করলেও তাকে ঠিক করার জন্য ভাই তো আছেই।"


আনিতা আশেপাশে তাকালো একবার। এতক্ষণ রোদেলার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিলো। বেশ অস্বস্তি নিয়েই আনিতা শান্তকে বলে,


--"ভা্ ভাবী ডাকবেন না প্লিজ। বয়সে আমি আপনার থেকে ছোটই হবো। না্ নাম ধরেই ডাকতে পারেন।"


শান্ত কিছু বলার আগেই সেখানে আহিয়ান এসে উপস্থিত হয়। আনিতার ঠিক সামনে এসেই আহিয়ান বাইক থামায়। আহিয়ানকে দেখে আনিতা ঘাবড়ে যায় কিছুটা। রোদেলা আর শুভ এতক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকলেও এখন আহিয়ানকে দেখে সাহস পাচ্ছে মনে। এতক্ষণে ওরা যদিওবা বুঝে ফেলেছিলো শান্ত আহিয়ানের কথাই বলছে। তারপরও কিছুটা ভয় কাজ করছিলো মনে। নতুন জায়গা তেমন জানা শোনা কেউ নেই। আহিয়ান একপলক রিদমানের দিকে তাকালো। রিদমান কপাল কুঁচকে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। শান্ত এগিয়ে এসে আহিয়ানকে বলে,


--"ভাই আপনি এসেছেন?"


--"তোর সাথে পরে কথা বলছি।"


রিদমানের দিকে তাকিয়েই আহিয়ান কথাটা বলল। কয়েক সেকেন্ড বাদেই আহিয়ান রিদমানের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আনিতার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করে,


--"বাসা থেকে বের হয়েছো কেন?"


--"আ্ আজ তো শুভ আছে সাথে।"


আহিয়ান রাগী চোখে তাকাতেই আনিতা মাথা নিচু করে নিলো। রিদমান এবারেও বেশ অবাক হলো। আহিয়ান বাইক থেকে নেমে বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো। এক আঙুল দিয়ে আনিতার থুতনি ধরে উঁচু করলো। আনিতা আহিয়ানের চোখের দিকে তাকালো। আহিয়ানের চোখের ভাষাটা আনিতা ঠিক বুঝতে পারলো না। পাশ থেকে রিদমান ক্ষানিকটা ঝাঁজালো স্বরে বলে,


--"হাউ ডেয়ার ইউ টাচ হার?"


--"সেটা আমি তোকে পরে বলছি।"


আনিতার চোখের দিকে তাকিয়েই আহিয়ান রিদমানের প্রশ্নের জবাব দিলো। আহিয়ান আনিতার থুতনি থেকে নিজের আঙুল সরিয়ে বলে,


--"বাসায় যাও।"


আনিতা কিছু বলার জন্য মুখ খুলছিলো। কিন্তু তার আগেই আহিয়ান ওকে কিছুটা ধমকের সুরে বলে,


--"নো মোর ওয়ার্ড।"


আনিতা কিছু না বলে নিঃশব্দে উলটো ঘুরে বাসার পথে হাঁটা লাগালো। আনিতার পিছু পিছু শুভ আর রোদেলাও চলে এলো। আনিতারা বেশ কিছুটা দূর যাওয়ার পর আহিয়ান আনিতার থেকে দৃষ্টি সরালো। আহিয়ান রিদমানের দিকে তাকিয়ে বুকে হাত গুজে বলে,


--"হ্যাঁ কি যেন বলছিলি এবার বল।"


--"কোন সাহসে তুই ওকে টাচ করলি?"


--"সাহস? ওকে টাচ করতে সাহস লাগে না আমার। অধিকারবোধ আছে। আর সেটা ও নিজেই দিয়েছে।"


রিদমান আহিয়ানের দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে। রিদমানের দৃষ্টি দেখে আহিয়ান মৃদু হাসে। আহিয়ান পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে মুখে দেয়। শান্তর দিকে ইশারা করতেই শান্ত লাইটার এগিয়ে দেয় আহিয়ানকে। আহিয়ান সিগারেট জ্বালিয়ে লাইটার শান্তর দিকে ছুড়ে মেরে রিদমানকে উদ্দেশ্য করে বলে,


--"যাকে লাইন মারার চেষ্টা করছিলি না সে অলরেডি আমার হয়ে গিয়েছে। আর ওকে টাচ করার অধিকার সাহস যাই বলিস না কেন সব শুধুমাত্র আমারই। সুতরাং এরপর যদি ভুল করেও ভুল নজরে ওর দিকে তাকাস তাহলে তোর ওই চোখদুটো খুলে আমি লুডু খেলবো।"


এইটুকু বলেই আহিয়ান রিদমানকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বাইকে উঠে বাইক স্টার্ট দিলো। যে রাস্তা দিয়ে এসেছিলো আবার সেই রাস্তা দিয়েই চলে গেলো আহিয়ান। রিদমান আহিয়ানের যাওয়ার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে। শান্তকে বলে,


--"আহিয়ানকে বলে দিস, ও যদি আমার না হয় তাহলে আহিয়ানেরও হবে না। আমি হতে দিবো না।"


এইটুকু বলেই রিদমান হনহনিয়ে চলে গেলো। শান্ত রিদমানের কথা শুনে ওর যাওয়ার পানে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবারো পাশের সেই দোকানটাতে চলে যায়। 


*


আনিতারা ওদের বিল্ডিংয়ের সামনে এসে দাঁড়ালো। রাস্তার ধারে ইট দিয়ে উঁচু করে বসার মতো জায়গা করা। সেখানেই আনিতা রোদেলা আর শুভ বসে পড়লো। রাস্তার মাঝেই কয়েকজন বাচ্চা খেলছে। বাচ্চাদের মাঝ থেকে হঠাৎ নুজাইরাহ বের হয়ে আনিতার সামনে এসে দাঁড়ায়। আনিতা নুজাইরাহ এর গাল টেনে দিতেই নুজাইরাহ বলে,


--"জানো কাকাই এর ফো্ ফোনে তোমা্ তোমার অনেক ছবি দে্ দেখেছি।"


নুজাইরাহ আধো আধো ভাবে কথা গুলো বলল। আনিতা ভ্রু কুঁচকালো নুজাইরাহ এর কথা শুনে। নুজাইরাহ আবারো বলে,


--"কাকাই বলে্ বলেছে তুমি আমার কা্ কাকিয়া হও। আর আর মাম্মাম তোমাকে মামুনি বলে ডাকতে বলেছে।"


এইটুকুন বাচ্চা মেয়ের এত পাঁকা পাঁকা কথা শুনে আনিতা রীতিমতো অবাক। আনিতা নুজাইরাহ এর হাত ধরে বলে,


--"তোমার কাকাই কে আম্মু?"


নুজাইরাহ কিছু বলবে তার আগেই আর একটা বাচ্চা এসে ওকে খেলার ওখানে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় নুজাইরা বলে যায় এখন সে খেলবে আনিতার সাথে পরে কথা বলবে। আনিতা ভাবুক হয়ে নুজাইরাহ এর কথাগুলো ভাবছে। কি বলে গেল বাচ্চা মেয়েটা? ওর কাকাই এর ফোনে আনিতার ছবি? কে ওর কাকাই? 


সন্ধ্যার কিছুটা আগে রুহি আর একটা মেয়ে নিচে নামে। আনিতা ওদের দেখতে পেয়ে রুহি ওদের সাথে গিয়ে কিছুটা সময় কথা বলে। রুহি জানায় ওই মেয়েটা ওর ননদ। নাম আদ্রিশা। ছোট্ট করে সবাই অদ্রি বলে ডাকে। এই অল্প সময়েই ওদের সবার মাঝে বেশ ভাব জমে যায়। অদ্রি এবার ক্লাস টেন এ পড়ছে। সন্ধ্যার কিছুটা আগেই রুহি অদ্রি আর নুজাইরাহ বাসার ভিতর চলে যায়। রুহিরা যেতেই ফাইয়াজ নিচে নেমে এসে বলে,


--"সন্ধ্যা হয়ে আসছে বাসায় যা। আমি একটু বাজারে যাচ্ছি রান্নার কিছু জিনিসপত্র কিনতে হবে।"


আনিতা মাথা দুলাতেই ফাইয়াজ চলে গেলো। আনিতা ওরা ভিতরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই আহিয়ান এসে বাইক থামায় ওর সামনে। আনিতাকে বলে,


--"ঠিক দশ মিনিট বাদে নিচে নামবা। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।"


--"কেন?" 


--"প্রয়োজন আছে। এখন চুপচাপ ভিতরে যাও।"


আনিতা সম্মতি জানিয়ে ভিতরে চলে গেলো। আহিয়ানও নিজের বাসায় ঢুকে পড়ে। দূর থেকে রিদমান ওদের দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে ছিলো। 


দশ মিনিট বাদেই আনিতা নিচে নেমে আসে। হাতে একটা ছোট্ট টিফিন বক্স। আনিতা সিড়ি বেয়ে নিচে নামতেই আহিয়ানকে দেখতে পেলো। বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোন টিপছে। পড়নে কালো টি-শার্ট আর কালো থ্রি কোয়ার্টার। চুল বস্যে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়ছে। শাওয়ার নিয়েছে অথচ ভালো করে চুল মুছে নি। আনিতাকে দেখেই আহিয়ান পকেটে পুড়ে নেয়৷ বাইকে উঠে বাইক স্টার্ট দিয়ে আনিতাকে ইশারা করে বাইকের পিছনে বসতে। আনিতা এগিয়ে গিয়ে টিফিন বক্সটা বাইকের সিটে রেখে ওর ওড়না দিয়ে আহিয়ানের মাথা মুছে দেয়। মাথা মুছে দিয়ে আনিতা আবারো দূরে সরে দাঁড়ালো।  আনিতাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আহিয়ান বলে,


--"কি হলো উঠো?"


--"কোথায় যাবো?"


--"সামনেই___তোমার হাতে কিসের বক্স ওটা?"


--"পাস্তা আছে এতে।"


--"তুমি রান্না করেছো?"


--"হ্যাঁ।"


--"কার জন্য?"


--"আপনি ছাড়াও তো আমার আরো একজন আছে। তার জন্যই রান্না করে নিয়ে যাচ্ছি।"


আনিতার কথায় আহিয়ান মুচকি হাসলো। হেসেই বলল,


--"হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি। এখন উঠো আমিই তার কাছে তোমাকে পৌঁছে দিচ্ছি।"


আনিতা বিনাবাক্যে বাইকে উঠে বসলো। রোদেলা ওদের রুমের ব্যালকোনি থেকে কিছুটা জোরেই আহিয়ানকে বলে,


--"এই অসময়ে আমার বান্ধুবিটাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন ভাইয়া?"


--"তোমাদের কাছে এটা অসময় মনে হলেও আমার কাছে প্রেম করার জন্য এটাই বেস্ট সময়। সামনেই যাচ্ছি ঘন্টা খানেকের মাঝেই ফিরবো।"


এইটুকু বলেই আহিয়ান বাইক চালাতে শুরু করে। রিদমান ওর বারান্দায় দাঁড়িয়ে সবটাই দেখছিলো। ওর সহ্য হচ্ছে না আনিতার সাথে আহিয়ানকে। কেন যেন আহিয়ানের উপর বেশ হিংসা হচ্ছে ওর। রিদমান ভাবছে আনিতাকে ওর চাই। চাই মানেই চাই। সেটা যে ভাবেই হোক। ও আনিতাকে নিজের করবেই। মনে মনে এসব ভেবেই রিদমান বাঁকা হাসে।

চলবে।


[ ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর গল্পটা কেমন হচ্ছে অবশ্যই জানাবেন। হ্যাপি রিডিং🥰 ]


Next part 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.