Bangla choti golpo | শুধু তোমারই জন্য পর্ব_১২ | bangla golpo pdf

 

শুধু তোমারই জন্য

পর্ব_১২

Bangla choti golpo | শুধু তোমারই জন্য পর্ব_১২ | bangla golpo pdf
Bangla choti golpo | শুধু তোমারই জন্য পর্ব_১২ | bangla golpo pdf


--"আপনি?"


--"হ্যাঁ আমি।"


--"কখন এলেন?"


--"এইতো ঘন্টা দুই আগে।"


--"ওহ আচ্ছা।"


এইটুকু বলেই থেমে গেলো আনিতা। আবারো আকাশের দিকে তাকালো। আর এদিকে আহিয়ান এক দৃষ্টিতে আনিতার দিকে তাকিয়ে আছে। একটু আগের আসা সেই মানুষটা আর কেউ না আহিয়ান। হঠাৎ আহিয়ানকে দেখে বেশ চমকে গিয়েছিলো আনিতা। তবুও সেটা বাইরে প্রকাশ করলো না। 


আহিয়ানের "পিচ্ছি পাখি" বলে ডাকাটা বেশ ভাবাচ্ছে আনিতাকে। আহিয়ান তো ওকে বরাবরই ধানী লঙ্কা বলে ডাকে। তাহলে এবার এর ব্যাতিক্রম হলো যে? একই নামে তো অনেকেই ডাকতে পারে। এতে এত অবাক হওয়ার কি আছে? নাকি আদৃতই প্রথম এই নামে ডেকেছিলো বলে এখন আহিয়ান ডাকাতে একটু অন্যরকম লাগছে? এসবই ভাবছে আনিতা। আহিয়ান বেশ ক্ষানিকটা আনিতার দিকে তাকিয়ে থাকার পর বলে,


--"আচ্ছা ম্যাডামের কি মন খারাপ?"


--"উঁহু।"


--"মিথ্যে বলছো কেন? দেখেই বোঝা যাচ্ছে কিছু একটা হয়েছে।"


--"তো দেখেই যেহেতু বুঝতে পারছেন তাহলে আবার জিজ্ঞেস করছেন কেন?"


--"তার মানে সত্যিই মন খারাপ?"


আনিতা একবার আহিয়ানের দিকে তাকালো। ক্ষানিক বাদেই আবার চোখ সরিয়েও নিলো আহিয়ানের থেকে। কিন্তু কিছুই বলল না। আনিতা মনে মনে ভাবছে,


--"আমার মন খারাপ হওয়াটা যার বোঝার কথা সেই তো বুঝে না। আপনার আর বুঝে কি হবে?"


কথাটা মনে মনেই ভাবলো আনিতা। আহিয়ানকে জিজ্ঞেস করার সাহসটা আর হয়ে উঠলো না। কি দরকার সব মন খারাপের গল্প অন্যকে বলার? বাকীরা তো আমার ফিলিংসটা বুঝবে না। তারা নিতান্তই মজা নিবে। 


আনিতাকে বেশ ক্ষানিকটা সময় চুপ করে থাকতে দেখে আহিয়ান একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। আহিয়ান বুঝলে আনিতা এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে ইচ্ছুক নয়। তাই আহিয়ানও এই ব্যাপারে আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। বেশ ক্ষানিকটা সময় দুজনেই নিরব রইলো। শেষে নিরবতা ভেঙে আনিতাই বলে,


--"আপনি কি একাই এসেছেন?"


--"উঁহু ফাইয়াজও এসেছে সাথে।"


--"সেটা জানি। ফাইয়াজ ভাইয়ার বাসায় যদি সেই না আসে আপনার একা আসাটা অন্যরকম দেখায় না? আমি তন্ময় ভাইয়ার কথা মিন করেছিলাম।"


--"হ্যাঁ তন্ময়ও এসেছে। সাথে আরো দুজন ফ্রেন্ড এসেছে।"


--"ওহ আচ্ছা।"


--"হুম। তো পড়াশোনা কেমন চলছে?"


--"ওই তো একইরকম।"


আহিয়ান কিছু বলবে তার আগেই তন্ময় এসে উপস্থিত হয় সেখানে। তাই আহিয়ান কিছু বলল না। তন্ময় আহিয়ানের কাঁধে হাত রেখে ফিসফিস করে বলে,


--"কি ব্যাপার মামা? এসেই শুরু হয়ে গেলো তাই না?"


--"চুপ একদম উল্টাপাল্টা বুঝবি না বলে দিলাম।"


আহিয়ানের কথায় তন্ময় ক্ষানিকটা হাসলো। আহিয়ানের ব্যাপারটা হচ্ছে "পেটে ক্ষুধা মুখে লাজ" এটাই মনে করে তন্ময়। তন্ময় আহিয়ানকে ছেড়ে আনিতার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,


--"কেমন আছো কিউটিপাই?"


--"আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া। আপনি কেমন আছেন?"


--"এইতো ছোট্ট বোনের দেখা পেয়েছি এখন আরো বেশি ভালো আছি।"


তন্ময়ের কথায় আনিতা হেসে উঠলো। তন্ময় এর সাথে আনিতার বন্ডিংটা বেশ ভালো। মাঝে মাঝে তন্ময়কে ওর নিজের বড় ভাই মনে হয়। তন্ময়ও আনিতাকে নিজের ছোট বোনের চোখেই দেখে। 


একটু পর ছাদে ফাইয়াজ সহ আরো দুজন ছেলে এসে দাঁড়ালো। ফাইয়াজ আনিতার মাথায় গাট্টা মেরে বলে,


--"কিরে বুড়ি কেমন আছিস?"


--"উফস ভাইয়া কতবার বলেছি আমাকে বুড়ি বলবে না।"


--"তো কি বলবো?"


--"কেন আমার আব্বু আম্মু যে এত সুন্দর একটা নাম রেখেছে আমার সেটা তোমার মাথায় থাকে না?"


--"মামা মামির দেওয়া নামে আমি ডাকতে পারবো না। আমি তোকে বুড়ি বলেই ডাকবো।"


এভাবে আরো কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফাইয়াজ ওর বাকী দুই বন্ধুর সাথে আনিতার পরিচয় করিয়ে দেয়। একজনের নাম আদনান ও অপরজন এর নাম আরহান। আরহান নামটা শুনেও আনিতা ক্ষানিকটা অবাক হয়। আদৃতের বেস্ট ফ্রেন্ড এর নামও আরহান। 


পরক্ষণেই আবার নিজের বোকামির কথা ভেবে হাসলো আনিতা। একই নাম তো দুজন মানুষের হতেই পারে। এটা আর এমন অস্বাভাবিক বিষয় কি? আরো বেশ কিছুক্ষণ সকলে মিলে আড্ডা দিয়ে নিচে নেমে গেলো। 


---


সন্ধ্যার পর আনিতা অনলাইনে গিয়েও আদৃতকে পেলো না। এমন কি এখন অব্দি দুটো নাম্বারই অফ। আনিতার মনটা বেশ খারাপ হলেও সেদিকে পাত্তা দিলো না। আনিতা ঠিক করে নিয়েছে আর ভেঙে পড়বে না। এখন থেকে নিজেকে শক্ত রাখবে। তাই তো আজকে একবারের জন্যও কাঁদে নি। আগের আনিতা হলে এতক্ষণে কেঁদে কেটে অস্থির একটা অবস্থা তৈরী করে ফেলতো। 


রাতের খাবার খেয়ে আনিতা আর অনিমা শুয়ে আছে। আনিতার ফোনে গান চালিয়ে গেমস খেলছে অনিমা। আর আনিতা পাশে শুয়ে মনোযোগ সহকারে গানটা শুনছে। গান শুনে যেন আনিতার দম বন্ধ হয়ে আসছে। কান্নাগুলো সব দলা পাকিয়ে গলায় আটকে আছে। তাড়াতাড়ি উঠে বারান্দায় চলে গেলো আনিতা৷ অনেক কেঁদেছে ও আর কাঁদতে চায় না।


বেশ অনেকটা সময় যাবত আনিতা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। হালকা চাঁদের আলোয় বাহিরের চার পাশটা আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে। আনিতা এক দৃষ্টিতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে। আর ফাইয়াজের বারান্দায় থেকে আহিয়ান দেখছে আনিতাকে। আনিতা এখনো আহিয়ানকে দেখেনি। হুট করেই আনিতার আহিয়ানের উপর চোখ পড়তেই ও তড়িঘড়ি করে রুমে চলে আসে। আনিতার এভাবে চলে যাওয়া দেখে আহিয়ান বেশ অবাক হয়।


রাত এগারোটা বাজে আনিতার এখনো ঘুম আসছে না। কিছুক্ষণ আগেই আরেকবার আদৃতের নাম্বারে ডায়াল করেছিলো। কিন্তু এবারেও বন্ধ। আজ ওদের সম্পর্কের এক বছর পূর্ণ হলো আর আজই আদৃত এমন করছে। অন্যান্য সময় এমন করলে মানা যায়। কিন্তু আদৃত তো জানে আজকের দিনটার জন্য আনিতা কত এক্সাইটেড ছিলো। কত স্পেশাল ছিলো আজকের দিনটা আনিতার জন্য। বেছে বেছে আজকের দিনটাতেই আবারো এমন করলো আদৃত? আনিতার ভিতর থেকে চাপা একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।


ঘুম আসছে না বিধায় আনিতা আবারো বারান্দায় গেলো। রাত যত গভীর হচ্ছে চাঁদের আলোটাও যেন ততটাই বাড়ছে। এমনই মনে হচ্ছে আনিতার। তখনই ফাইয়াজের বারান্দায় থেকে কেউ একটা কাগজ ছুড়ে মারলো আনিতার দিকে। কাগজটা সোজা এসে আনিতার কাঁধে লেগেছে। প্রথমে খুব ভয় পেয়ে গেলেও পরে নিজেকে সামলে নিলো। ফোনের ফ্ল্যাশ অন করে কাগজটা হাতে তুলে নিলো। আনিতা কাগজটা খুলে দেখে তাতে লেখা আছে,


--"আনি বুড়ি একটু ছাদে আয় তো। আমি যে গ্রামে এসেছি এটা তাসকিয়া জানে না। সারপ্রাইজ প্ল্যান করবো ওর জন্য। তোর থেকে কিছু একটা প্ল্যান দরকার। প্লিজ ছাদে আয় একটু।"


লেখাটা পরে আনিতা মুচকি হাসলো। তাসকিয়া খুবই লাকি। ওর ভাইটা যে তাসকিয়া কে বড্ড বেশিই ভালোবাসে। আনিতা রুমে গিয়ে উড়নাটা গায়ে জড়িয়ে দরজা খুলে পা টিপে টিপে ছাদে চলে আসলো। 


আনিতা ছাদে গিয়ে কাউকে দেখতে পেলো না। একটুখানি ভয় লাগতে শুরু করলো আনিতার। এতরাতে ও ছাদে একা আছে তাই ভয় লাগছে। কিছুক্ষণ বাদেই ফাইয়াজদের ছাদ থেকে কেউ লাফিয়ে আনিতাদের ছাদে আসলো। আচমকা এমন শব্দে বেশ ঘাবড়ে গেলো আনিতা। পরে যখন একটা অবয়বকে এগিয়ে আসতে দেখলো তখন একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল আনিতা। 


অবয়বটা ধীরে ধীরে আনিতার সামনে এসে দাঁড়াতেই আনিতা অবাক হলো বেশ। আহিয়ান? আহিয়ান এসময় ছাদে কেন? এখন তো ফাইয়াজের আসার কথা তাহলে আহিয়ান কি করছে এখানে? তবে কি কাগজটা আহিয়ানই ছুড়ে মেরেছিলো? মনে মনে এসব ভেবে আনিতা বলে,


--"আপনি এখানে?"


--"প্রথমেই সরি মিথ্যে বলে তোমাকে এখানে আনার জন্য। আসলে কিছু কথা ছিলো৷ কিন্তু আমি যদি তোমাকে এখানে ডাকতাম তাহলে তুমি আসতে না। তাই এই পথ বেছে নিতে হলো।"


--"ইট'স ওকে। বলুন কি বলবেন।"


--"আনিতা ওইদিনের সেই কথাটার জন্য আমি সত্যিই সরি। আসলে তুমি ওসব বলাতে আমি এমনিতেই জিজ্ঞেস করেছিলাম তোমাকে 'যে তুমি আমাকে ভালোবাসবে কিনা?' তুমি আবার কিছু মনে করোনি তো?"


--"না না আমি আবার কি মনে করবো? আচ্ছা আসি তাহলে এখন?"


এই বলে আনিতা চলে আসতে নিলেই আহিয়ান ওর হাত চেপে ধরে। হাতে টান পড়াতে আনিতাও থেমে যায়। আহিয়ান আনিতার কিছুটা কাছে গিয়ে বলে,


--"আমার একটা কথা রাখবে আনিতা?"


-"কি কথা?"


--"কিছুক্ষণ সময় কাটাবে আমার সাথে? আই মিন আমার সাথে কিছুক্ষণ ছাদে থাকবে তুমি?"


--"কেন? কি করবেন ছাদে থেকে?"


--"কেক কাটবো।"


--"মানে বুঝলাম না ঠিক।"


--"আমার জন্য খুব স্পেশাল একটা দিন আজকে। আর এই দিনটাকে সেলিব্রেশন করতে চাচ্ছি আমি। আর সেলিব্রেশন করার মতো কেউ নেই আপাতত।"


--"কেন আপনার বন্ধুরা?"


--"বন্ধুরা কেমন তা তো তুমি জানোই। আমি ওদের এই কথা বললেই ওরা আমার পিছু লাগতে শুরু করবে। তাই আমার মনে হলো এই দিনটা তোমার সাথেই সেলিব্রেট করি।"


--"সরি আমি থাকতে পারবো না।"


--"প্লিজ? আর কখনো কিচ্ছু চাইবো না। এবারের জন্যই প্লিজ?"


আনিতা বেশ অবাক হলো। এই আহিয়ানের হয়েছে কি হঠাৎ করে? আহিয়ানের মতিগতি কিচ্ছু বুঝতে পারছে না ও। আহিয়ানের জন্য আজকে স্পেশাল একটা দিন। আর আনিতার জন্যও সেম। আনিতা তো বুঝে স্পেশাল দিনটা নষ্ট হয়ে গেলে কতটা কষ্ট হয়। তাই আজকে আহিয়ানের স্পেশাল দিনটা সেলিব্রেট করার জন্য রাজি হয়ে গেলো আনিতা। ওর এখানে থাকাতে যদি মানুষটা তার স্পেশাল দিন সেলিব্রেট করতে পারে তাহলে ক্ষতি এখানে থাকতে? আনিতা মনে মনে এসব ভেবে নিলো। তারপর আহিয়ানের দিকে তাকালো। আহিয়ান উত্তরের আশায় এখনো ওর দিকে তাকিয়ে। আনিতা মুচকি হেসে বলে,


--"আচ্ছা রাজি আমি।"


আনিতার কথায় আহিয়ান হাসলো। তারপর ফাইয়াজদের ছাদের কাছে গিয়ে ওখান থেকে একটা বক্স নিয়ে আবার আনিতার কাছে এসে দাঁড়ালো। আহিয়ান বক্স থেকে ছোট্ট একটা কেক বের করে রেলিঙের উপর রাখলো। আনিতা তাকিয়ে দেখলো হার্ট শেইপের একটা চকলেট কেক। তাতে ইংলিশে লিখা, "ওয়ান ইয়ার সেলিব্রেশন" এটা দেখে আনিতা বেশ অবাক হলো। কিসের ওয়ান ইয়ার সেলিব্রেশন করছে আহিয়ান?


আহিয়ান আনিতার দিকে নাইফ এগিয়ে দেয়। অবাক চোখে তাকায় আনিতা। আনিতা নাইফ নিচ্ছে না বলে আহিয়ান বলে,


--"কি হলো? ধরো নাইফটা।"


এই বলে আহিয়ান নিজেই আনিতার হাতে নাইফ দেয়। তারপর আহিয়ান আনিতার হাত ধরে দুজনে একসাথে কেক কাটে। আহিয়ান কেক কেটে ছোট্ট একটা কেকের টুকরো হাতে নিয়ে আনিতাকে খাইয়ে দেয়। আহিয়ান আনিতাকে বলে,


--"আমাকে খাইয়ে দিবে না?"


আনিতা এখনো অবাক চোখে আহিয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেটা কি করছে এসব? আহিয়ান আবারো আনিতাকে ডাকে। কিন্তু এবারেও আনিতার হুশ নেই। আহিয়ান আনিতার কাঁধে হাত রাখতেই আনিতা চমকে তাকায় আহিয়ানের দিকে। আহিয়ান বলে,


--"কি হলো আমাকে খাইয়ে দিবে না?"


আনিতা কিছু না বলে এক টুকরো কেক নিয়ে আহিয়ানকে খাইয়ে দিলো। আনিতার অগোচরেই আহিয়ান মুচকি হাসলো। তারপর আনিতাকে বলে,


--"আচ্ছা অনেক হয়েছে এবার যাও তুমি। পরে কেউ দেখে ফেললে উল্টাপাল্টা ভাববে।"


আনিতা মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে চলে আসতে নেয় ছাদ থেকে। আহিয়ান আবারো হাত টেনে ধরে থামিয়ে দেয় আনিতাকে। আনিতা পিছু ঘুরে তাকালো। আহিয়ান একটা শপিং ব্যাগ আনিতার হাতে দিয়ে বলে,


--"এটা তোমার জন্য।"


--"কি আছে এতে?"


--"খুলেই দেখে নিও।"


--"কিন্তু আমি এটা নিতে পারবো না।"


--"প্লিজ। আমার এত স্পেশাল দিনটাকে সেলিব্রেট করতে তুমি হেল্প করলে আর তোমাকে আমি কিছু দিবো না? তা কি করে হয় বলো তো?"


--"আমার কিছু লাগবে না।"


--"প্লিজ আনি__মানে আনিতা রাখো এটা। তুমি যদি এটা রাখো তাহলে আমি সত্যিই খুব খুব খুশি হবো। প্লিজ।"


আনিতা আর কিছু না বলে ব্যাগটা হাতে নিয়ে নিচে নেমে যায়। আহিয়ান আনিতার যাওয়ার পানে তাকিয়ে মুচকি হাসে। তারপর আহিয়ান নিজেও ফাইয়াজদের ছাদ দিয়ে নিচে নেমে যায়।

চলবে।


[ ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর গল্পটা কেমন হচ্ছে অবশ্যই জানাবেন সবাই। হ্যাপি রিডিং🥰 ]


Next part 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.