পুতুল_বউ
পুতুল বউ গল্প - bangla choti golpo - bangla golpo pdf |
(২য় ৩য় পর্ব)
মিষ্টির চাচা চাচি বান্ধবীরা সবাই গেছে বাইরে বরপক্ষ কে বরণ করতে।
ভাতিজির বিয়েতে মনমতো আয়োজন করতে না পেরে মিষ্টির চাচার মনটা এতক্ষন খুব খারাপ ছিলো কিন্তু এখন বর কে দেখে নিমিষেই মনটা ভালো হয়ে গেলো।
বরপক্ষ কে বরণের পর তাদের বসতে দেওয়া হলো বরকে আর তাদের সাথের ৫/৬ জন কে।
আবিরএর মা মিষ্টির চাচির হাতে শাড়ি গহনা দিয়ে বলল এসব পরিয়ে মিষ্টিকে সাজিয়ে আনতে।
.
এদিকে মিষ্টির চাচির এই সবকিছু দেখে গা জ্বলে যাচ্ছে। কতশখ করে ঐ দিন নিজের মেয়েকে সাজিয়ে আবির এর পরিবারকে কত আপ্যায়ন ই না করলো রা তা রেখে নিজের মেয়েকে পছন্দ না করে তাদের পছন্দ হলো পেছনে দাড়িয়ে থাকা ঐ মিষ্টিকে।
এসব ভাবতেই এখন নিজের কপাল চাপরাতে ইচ্ছে করছে... কেনো যে ঐ দিন অলক্ষি টা কে পাশের ঘরে আটকে রাখলো না????
.
এদিকে মিষ্টিকে তার বান্ধবীরা মিষ্টিকে বউ সাজাচ্ছে আর সবাই মিলে হাসি তামাশা করছে।
.
ঐ দিকে বরপক্ষের খাবারের পর্ব ও শেষ আর মিষ্টি ও তৈরী।
এবার কাজি এসে ওদের বিয়ের কাজ টা ও সম্পন্ন করলো।
.
এবার মিষ্টি কে নিয়ে আবির এর পাশে বসানো হলো।
কিন্তু আবির মিষ্টি কে এখনো দেখেনি আর দেখে ই বা কি করবে পছন্দ না হলে ও তো কিছু করার নেই।
শহরের এতো মর্ডান মেয়ে থাকতে এই অজোপাড়া গায়ের কোনো ক্ষেত মেয়েকে বিয়ে করার কোনো আগ্রহ নেই তার।
কিন্তু মায়ের ইচ্ছা যে মা তার নিজের গ্রামের কোনো সহজসরল মেয়েকে ই ঘরের বউ করবে আর অবশেষে মায়ের জেদের কাছেই হার মানতে হলো আবির কে।
.
যেহেতু বিয়ে হয়ে ই গেছে তো এইসব ভেবে এখন আর কি লাভ তাই কৌতুহল বসতো নিজের বউ কে দেখার সাধ জগলো
আবির এর মনে কিন্তু পাশে তাকিয়ে ই নতুন বউএর ইইইয়য়য়য়া বড় ঘোমটা দেখে সেই ইচ্ছা টা ও মাটি হয়ে গেলো।
.
প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে এখনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা না দিলে পৌছতে অনেক রাত হয়ে যাবে।
বিদায় বেলা মিষ্টির চাচা মিষ্টির হাত
আবির এর হাতে দিয়ে চার হাত এক করে দিলো আর এ দিকে মিষ্টি অনবরতো কেঁদে ই যাচ্ছে।
.
গাড়ির এক পাশে আবির তারপর মিষ্টি আর আর পাশেই বসেছে আবির এর ছোট বোন।
সামনে ড্রাইভারের সাথে বসেছে আবির এর বন্ধু।
আর পেছনের গাড়িতে আসছে মা বাবা আর কিছু আত্বীয়রা।
এখনো মিষ্টি কেঁদে ই যাচ্ছে।আবির এর বোন রাইসা মিষ্টিকে অনেক কিছু বলে কান্না থামানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না।
এদিকে আবি ভেবে পাচ্ছে না গাড়িতে আমরা মাত্র পাচ জন মানুষ এখানে ও এত্তো বড় ঘোমটা দেওয়ার কি আছে এট উঁকিঝুঁকি দেওয়ার পরে ও পাশে বসে থেকে ও এখনো মুখটা দেখতে পারে নি।আর এতো কান্নার কি আছে আর এই বাচ্চা মেয়েটা কে মা পছন্দ করলো কি করে??
চেহারা না দেখলে ও বোঝা যাচ্ছে মেয়েটার বয়স ১৫/১৬ এর বেশী হবে না এ পিচ্চি বউ কে নিয়ে সংসার করবে কি করে??
আর এর কান্না এখনো থামছে না কেনো একটা মানুষের চোখে কত পানি থাকে... মনে হচ্ছে যেন এ মেয়ের চোখে সরাসরি সমুদ্রের সাথে লাইন দেওয়া আছে.......
.