পুতুল বউ
পুতুল বউ গল্প - Bangla choti golpo - পর্ব - ১০ |
★★ (পর্ব - ১০)★★
মিষ্টি আবির এর সামনে বসে থাকতে কেমন জানি লাগছিলো তাই আজকের মতো পড়া শেষ করে বড় আপার রুমে গিয়ে বসে আছে।
.
রিফার রুমে যাওয়ার পর থেকে মিষ্টি অনেকটা চুপচাপ।
রিফা জিজ্ঞাস করলো ----- এতো তাড়াতাড়ি পড়া শেষ???
তা পড়া যখন শেষ ই তাহলে বর কে একটু সময় দিলে ই ত পারো।
তুমি জানো আগে আমরা সবাই সন্ধ্যার পর বাইরে ঘুড়তে যেতাম।তখন আবির কে যতই বলতাম একটু আগে আসিস আমরা একটু বাইরে যাব, কিন্তু ও কে কোনো মতে ই বাসায় আগে আনা যেত না।
ওর অফিসের কাজের সাথে কোনো কিছু ই কম্প্রমাইজ করবে না।অথচ দেখো আজ নিজে থেকে আগে আগে বাসায় এসে বসে আছে। l যে অসময়ে এক মিনিট ও ঘরে থাকে না সে এখন কারন ছাড়া বাইরে ই কোথাও যায় না।
মিষ্টি শুধু মন দিয়ে কথাগুলো শুনছে,কিছুই বলছে না।
মিষ্টির চুপ থাকা দেখে রিফা ওর দিকে তাকিয়ে বলল ------- মিষ্টি???
মিষ্টি জবাব দিলো ------ হুম??
রিফা বলল ------ তুমি বুঝতে পারছ তো আমি তোমাকে কি জন্য এইসব বলছি???
মিষ্টি মাথা নাড়িয়ে না সূচক উত্তর দিলো।
রিফা বলল ---- আমার ভাই টা যে তোমাকে কতটা ভালোবাসে তা কি তুমি কখনো অনুভব করেছো??
তুমি পাশে না থাকলে ও যে তোমাকে চোখে হারায় তা কি তুমি বোঝ???
মিষ্টি লজ্জায় আপার দিকে তাকাতে পারছে না।
রিফা মিষ্টি কে উদ্দেশ্য করে বলল থাক আর লজ্জা পেতে হবে না।
তা আমার ভাই টা এখন একা একা কি করছে যাও ঘরে গিয়ে ওকে একটু সময় দাও।
.
মিষ্টি রুমের সামনে দাড়াতেই একটু আগের ঘটনার কথা মনে পড়ে গেলো।
লজ্জায় আর রুমে প্রবেশ করলো না।
আপার রুমে ফিরে গেলে তো আপা আবার জিজ্ঞাস করবে কেনো ফিরে এলো তাই সেখানে ও যাবে না।
এর চেয়ে বরং রান্না ঘরে গিয়ে বুয়ার সাথে রান্নার কাজে সাহায্য করুক।
.
রান্না শেষে মা খাবারের টেবিল সাজিয়ে সবাই কে ডাক দিলো মিষ্টি ও মাকে সব কাজে সাহায্য করলো।
.
আবির এখনো রুমেই বসে আছে মিষ্টির আর্ট করা সেই কাগজ টা নিয়ে।
এতোক্ষণে ওর মাথায় ছোটখাটো অনেকগুলো বুদ্ধি ও ভিড় জমিয়েছে কিন্তু তারা কতটুকু কার্যকর তা নিয়ে বিশেষ সন্দেহ আছে।
.
আচ্ছা হাতের এই কাগজের মতো আমি ও যদি আমার #পুতুল_বউ টা কে আর্ট করি আর আমার মনের সব কথা ঐ কাগজেই লিখে মিষ্টি কে দেই তো কেমন হয়????
.
পাশের ঘর থেকে মা আবার খেতে ডাক দিলো তাই আবির উঠে গেলো খাবার রুমে।
ফিরে এসে যা করার করবে।
.
আববির এর পাশে জায়গা থাকলে ও মিষ্টি খাবারের সময় ওর পাশে বসে না কেমন যেন অসস্থি লাগে তাই আপার পাশে ই বসে বেশীর ভাগ।
আবির ও ব্যাপার টা বুঝতে পেরে মাঝেমাঝে নিজে থেকেই দুরে গিয়ে বসে যেনো মিষ্টি খাবার সময় নরমালি খেতে পারে।
.
কিন্তু আজ আবির বসার পর ওর পাশের চেয়ারটায় মিষ্টি বসেছে। আবির এটা দেখে অনেকটা ই অবাক....... কারন ওর থেকে দুরে আরি তিন টা চেয়ার খালি পরে আছে।
রিফা ও ব্যাপার টা খেয়াল করেছে আর মিটিমিটি হাসছে আর ভাবছে আর কথাগুলো হয়তো মিষ্টির মাথায় ভালোভাবেই গিয়েছে।
.
খাবার টেবিলে সবাই চুপচাপ বসে খাবার খাচ্ছে।
আবির এর খুব ইচ্ছে করছে মিষ্টির হাতটা ধরতে কিন্তু সাহস পাচ্ছে না, যদি সবার সামনে কোনা রিএক্ট করে??
তবুও রাতের প্ল্যানিং টা কতটুকু কার্যকরী হবে তা বোঝার জন্য এখনের একটু আভাস পাওয়া দরকার।
তাই আর কিছু না ভেবেই টেবিলের নিচে আবির মিষ্টির হাতটা ধরলো।
মিষ্টি প্রথমে ভয় পেয়ে হাতটা ছাড়াতে চাইলেও পরে চুপচাপ বাধ্যমেয়ের মতো বসে রইলো।
আবির মনেমনে হাসছে হয়তো মিষ্টির এই চুপ থাকাই কাছে আসার সম্মতি দিচ্ছে।
.
আবির এর খাবার খাওয়া শেষ।তবু খাবার প্লেটে কিছু খাবার নিয়ে অযথা ই ঘাটাঘাটি করছে। কারন মিষ্টির হাতটা ওর একটুও ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না।
কিন্তু রুমে গিয়ে যে রাতের প্লানিং টা ও কমপ্লিট করতে হবে।
আবির মিষ্টির আসার আগেই রুমে গিয়ে পেন্সিল দিয়ে মনের মতো করে কাগজে তার #পুতুল_বউ কে আঁকতে বসেছে।
তারপর চিঠি লিখবে.....আর চিঠিতে লিখার জন্য মনের কথা ও মনেমনে ঠিক করে রেখেছে।
ভাইয়ারা আপুরা আমার আইডিতে কিছু প্রবলেমের কারণে দুই দিন কোন পোস্ট করতে পাইনি আজকের গল্পটা ছোট করে দিলাম কালকের পর্ব বড় করে দেবো ইনশাল্লাহ
আপনারা যারা ইউটিউবে গল্প পড়তে ভালোবাসেন আমাদের চ্যানেলে ঘুরে আসতে পারেন আমাদের চ্যানেলের ভিডিও লিংক নতুন ভাবে গল্প পরুন ডুয়েট ভয়েস আবির মিষ্টি