Bangla Golpo - শুধু তোমারই জন্য পর্ব_৪৪ - bangla choti golpo

 


শুধু তোমারই জন্য

পর্ব_৪৪

Bangla Golpo - শুধু তোমারই জন্য  পর্ব_৪৪ - bangla choti golpo
Bangla Golpo - শুধু তোমারই জন্য  পর্ব_৪৪ - bangla choti golpo 


এর মাঝে দেড়টা মাস কেটে গিয়েছে। আনিতার থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেদিনই। আনিতা বা আহিয়ান কেউ-ই কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। আনিতা ফার্স্ট সেমিস্টার এক্সাম দিয়েছে কিন্তু তবুও আহিয়ানের সাথে দেখা তো দূরে থাক কথা অব্দি বলতে পারেনি। পরিক্ষার কদিন আনিতা তুষারদের বাসায় থেকেছে। সাথে আনিতার চাচ্চুও। আনিতার ছোট চাচ্চু প্রতিদিন আনিতাকে এক্সাম দিতে নিয়ে যায় আবার নিয়ে আসে। সারাটা সময় ওর চাচ্চু হলের বাইরেই থাকে। তাই আহিয়ানের সাথে কথা বলা দেখা করাটা হয়ে উঠেনি। আহিয়ান এসেছিলো চারদিন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। লাস্ট এক্সাম আজ। আজ আনিতা সবার শেষে বের হয়। নাহিয়ানের ফোন দিয়ে আহিয়ানের সাথে কথা বলবে বলে। কিন্তু আহিয়ানের নাম্বার ওয়েটিংয়ে ছিলো। ক্ষানিকটা বাদে আহিয়ান কলব্যাক করে কিন্তু ততক্ষণে আনিতা ক্লাসরুম থেকে বের হয় যায়। নাহিয়ান সাথে সাথেই পিয়নকে পাঠায় আনিতাকে ডেকে পাঠাতে। বিল্ডিং থেকে বের হয়ে আনিতারা প্রায় মাঠের অর্ধেকটা চলে এসেছে পিয়ন কয়েক হাত দূর থেকে আনিতাকে ডেকে উঠে। আনিতা আর ওর ছোট চাচ্চু পিয়নের ডাকে পিছু ফিরে তাকায়। পিয়ন আনিতার সামনে এসে বলে,


--"ইংলিশ স্যার তোমাকে ডাকছে।"


কথাটা বলেই পিয়ন চলে গেলো। আনিতা ওর ছোট চাচ্চুর দিকে তাকাতেই ওর ছোট চাচ্চু বলে,


--"যাও। আমি এখানেই আছি।"


আনিতা মাথা নেড়ে উলটো হাঁটা দেয় নাহিয়ানের কেবিনে যাওয়ার জন্য। আনিতা ভেবে পাচ্ছে না হুট করে নাহিয়ান কেন ডাকছে ওকে? এসব চিন্তা ভাবনার মাঝেই আনিতা নাহিয়ানের কেবিনের সামনে এসে দাঁড়ায়। দরজা খুলে বলে,


--"মে আই কাম___"


--"ইয়েস কাম।"


আনিতা পুরো কথা বলার আগেই নাহিয়ান বলে। আনিতা কেবিনে গিয়ে নাহিয়ানের বরাবর দাঁড়ায়। আনিতা কাচুমাচু করে দাঁড়িয়ে আছে। নাহিয়ান হেসে বলে,


--"বসো।"


আনিতা নিঃশব্দে চেয়ার টেনে নাহিয়ানের সামনে বসে। আনিতা ইতস্তত করে বলে,


--"স্যার পিয়ন আংকেল বলল আমায় ডেকেছিলেন।"


--"হুম ডেকেছি। তবে তোমায় না বলেছি ক্লাসরুমের বাইরে আমায় ভাইয়া ডাকতে।"


--"নেক্সট টাইম থেকে ডাকবো।"


--"গুড। কি খাবে বলো? চা কফি? নাকি ঠান্ডা কিছু খাবে?"


--"কিছু লাগবে না ভাইয়া। বাইরে চাচ্চু অপেক্ষা___"


--"আহিয়ানকে ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না?"


আনিতা কিছু না বলে মাথা নিচু করে নিলো। নাহিয়ান চেয়ার থেকে উঠে এসে আনিতার পাশেই টেবিলে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,


--"জানো আমার ভাইটাও বেশ কষ্ট পাচ্ছে৷ কতদিন হলো তোমায় দেখে না তোমার সাথে একটু কথা বলতে পারে না।"


কিছু না বলে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো আনিতা। নাহিয়ান আনিতার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,


--"আর কয়েকটা দিন দুজনে একটু কষ্ট করে নাও। আমি আম্মুকে ম্যানেজ করে আম্মু আর আমি অতি শীঘ্রই তোমাদের বাসায় যাচ্ছি।"


--"হুম। এখন তাহলে আসছি?"


--"আর একটু বসো।"


--"কিন্তু___"


--"আহিয়ান আসছে।"


আহিয়ানের কথা মনে হতে আরো কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। আহিয়ান আসবে? ও দেখবে আজ আহিয়ানকে। কতদিন পর ও আহিয়ানকে দেখবে। স্পর্শ করতে পারবে। ভাবতেই আনিতার খুউব খুশি খুশি লাগছে। মিনিট দুয়েকের মাথায় আহিয়ান দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে। আনিতা গিয়ে আহিয়ানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়। নাহিয়ান এগিয়ে গিয়ে দরজা লক করে দিলো। কখন কে এসে পড়ে বলা তো যায় না। 


আনিতা আহিয়ানের বুকে মাথা রেখে হেঁচকি তুলে কাঁদছে। এতদিনে আহিয়ানেরও বেশ শান্তি লাগছে ভিতরটায়। কতদিন পর ওর পিচ্চিপাখি টাকে বুকে আগলে নিলো। শক্ত করে দুজন দুজনে আঁকড়ে ধরে আছে। একটু ছাড়া পেলেই যেন একজন আরেক জনের থেকে হারিয়ে যাবে। মিনিট চারেক পর আনিতা আহিয়ানকে ছেড়ে দাঁড়ালো। আনিতা জিজ্ঞেস করলো,


--"কেমন আছেন?"


--"এই যে আমার পিচ্চিটার দেখা পেয়ে গেছি এখন খুব ভালো আছি।"


--"চোখমুখের এই অবস্থা কেন? খাওয়া-দাওয়া করেন না ঠিকভাবে? শুনুন খাওয়া-দাওয়ার কোনো অনিয়ম চলবে না এই বলে দিলাম। আমি ছিলাম আমি আছি এবং আমি আপনারই থাকবো।"


--"হুম জানি তো। আমাকে তো বলা হচ্ছে খুব। তাহলে আপনার এই হাল কেন? এই ক'দিনে কম হলেও দশ কেজি ওজন কমেছে আপনার। চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে। কারন কি হুম? আমি কি মরে গিয়ে___"


--"চুপ একদম চুপ। এমন বললে কিন্তু আমি আপনার সাথে আর কক্ষনো কথা বলবো না।"


--"এই রে ভুল কথা বলে ফেলেছি মনে হচ্ছে। এই যে কানে ধরলাম আর এমন বলবো না।"


হঠাৎই দরজায় নক হলো। নাহিয়ান গিয়ে দরজা হালকা খুলে দেখে পিয়ন দাঁড়িয়ে আছে। নাহিয়ানকে দেখেই পিয়ন বলে,


--"স্যার আনিতার চাচ্চু এদিকেই আসছে।"


--"আচ্ছা তুমি যাও।"


নাহিয়ান আবার দরজা আটকে ওদের কাছে গিয়ে বলে,


--"আনিতার চাচ্চু এদিকেই আসছে। ওকে এখন যেতে হবে।"


আহিয়ান পকেট থেকে একটা ফোন বের করে আনিতার দিকে এগিয়ে দিলো। আনিতা প্রথমে নিতে না চাইলেও আহিয়ান জোর করেই ওর হাতে ফোন দেয়। আনিতা ফোন হাতে নিয়ে উলটে পালটে দেখে বলে,


--"এটা তো আপনার ফোন।"


--"আমার কাছে আর একটা আছে। এটা তোমার কাছেই রাখো। আর হ্যাঁ ফোনটা সবসময় অফ রাখবে। যখন সময় সুযোগ পাবে তখন অন করে আমায় ফোন করো। কথা বলা শেষে আবার অফ করে রাখবে। আর সিমও আছে এটাতে। কেউ যেন বুঝতে না পারে তোমার কাছে ফোন আছে। বি কেয়ারফুল।"


--"আচ্ছা।"


আহিয়ান আর একবার আনিতাকে জড়িয়ে ধরে ওর কপালে চুমু দিয়ে ওকে ছেড়ে দিলো। আনিতা বের হওয়ার আগে আহিয়ান কতগুলা নোট'স দিলো ওর হাতে। আনিতা ফোনটা ভালো ভাবে ব্যাগের ভিতরে বইয়ের ভাজে রেখে দিলো। তারপর নোট'স গুলো হাতে নিয়ে আর একবার আহিয়ানের দিকে তাকিয়ে বের হয়ে গেলো রুম থেকে। 


আনিতা দোতালায় নাহিয়ানের কেবিন থেকে বের হয়ে কড়িডোর শেষে দু সিড়ি নামতেই ওর ছোট চাচ্চু এলো। আনিতার চাচ্চু বলে,


--"এত সময় লাগলো কেন? কেন ডেকেছিলো?"


--"এই নোট'স গুলো দিতে। এক্সাম হলে স্যারকে বলেছিলাম আমি ক্লাস না করে শুধু এক্সাম দিবো। আর বাসায় পড়াশুনা করবো। তাই তিনি আমাকে এই নোট'স গুলো দিলেন।"


--"আচ্ছা এখন চল।"


আনিতা আর কথা না বাড়িয়ে ওর চাচ্চুর পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করলো। ভার্সিটি থেকে বের হয়ে একটা রিকশা ডেকে দুজনে রিকশায় চড়ে বসলো।


-


বিকেলে আনিতার চাচ্চু আর তুষারের আব্বু বের হয় বাসা থেকে। আজকেই আনিতারা চলে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু সবার জোরাজোরিতে আজকের রাত থাকতে বাধ্য হয়। আনিতার চাচ্চু বাসা থেকে বের হওয়ার কিছু সময় বাদেই ও ড্রয়িংরুম ছেড়ে উঠে নিজের রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দেয়। তুষাররা পাচঁ তলায় থাকে। আনিতা দরজা লাগিয়ে দিয়ে ব্যালকোনিতে চলে যায়। নিচে তাকিয়ে দেখে ওর চাচ্চু আর তুষারের আব্বু রিকশায় উঠে পড়েছেন। রিকশাটা চোখের আড়াল হতেই আনিতা ফোন অন করে। ওয়ালপেপারে ওর ছবি। আনিতার মনে পড়লো, ওর চাচ্চুর বিয়েতে হলুদের দিন রাতে দুজনে ছাদে বসেছিলো। আনিতা একা একাই বকবক করছিলো তখনই ছবিটা তুলেছে আহিয়ান। মুচকি হাসলো আনিতা। কল লিষ্টে গিয়ে আহিয়ানের নাম্বার তুলে ডায়াল করলো। একবার রিং হতেই আহিয়ান ফোন রিসিভ করে কানে নিয়ে বলে,


--"হুম আনিতা বলো? আশেপাশে আবার কেউ নেই তো? ধরা পড়ার কোনো চান্স নেই তো আবার।"


--"উঁহু একদমই ধরা পড়ার চান্স নেই। চাচ্চু বাসায় না বের হয়েছে আংকেলের সাথে।"


--"আংকেল?"


--"তুষার ভাইয়ার আব্বু।"


--"কোথায় আছো তোমরা?"


--"তুষার ভাইয়াদের বাসায়। এখানে থেকেই এক্সাম দিয়েছি। আজই চলে যাওয়ার কথা ছিলো আন্টি যেতে দেয়নি। কাল চলে যাবো।"


--"তুষারের থেকে দূরে থাকবে কিন্তু।"


--"হুম।"


--"কি করছো?"


--"ব্যালকোনিতে বসে আছি।"


--"একটু বাদেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে রুমে যাও।"


--"থাকি না কিছুক্ষণ। ভালোই লাগছে।"


--"ওকে আপনার যেমন মর্জি।"


--"আচ্ছা রুমেই যাচ্ছি।"


আহিয়ান জানতো এই কথাটা বললেই আনিতা রুমে চলে যাবে৷ আর হলোও তাই। আহিয়ান নিঃশব্দে ঠোঁট কামড়ে ধরে হাসলো। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আনিতা ফোনে কথা বলছিলো। কখন যে সময় কেটে যায় বুঝতেই পারে না ও। সন্ধ্যা পার হয়েছে বেশ কিছুটা সময়। হঠাৎ করে দরজায় নক হওয়াতে আনিতা ধরফরিয়ে উঠে বসে। আহিয়ানকে বলে,


--"কেউ দরজায় নক করছে। রাখছি আহিয়ান।"


--"হুম। এত রিস্ক নিয়ে ফোন করার আর দরকার নেই। পরে সময় বুঝে ফোন দিও।"


--"আচ্ছা রাখছি।"


--"ভালোবাসি।"


--"আমিও ভালোবাসি আপনাকে।"


আনিতা এইটুকু বলেই ফোন কেটে দিলো। ফোন অফ করে ব্যাগে রেখে দিলো। তারপর উড়না গায়ে জড়িয়ে দরজা খুলে দিলো। দরজার ওপাশে তুষার দাঁড়িয়ে আছে। তুষার একগাল হেসে বলে,


--"এত সময় লাগলো যে দরজা খুলতে।"


--"ঘু্ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম একটু।"


--"আচ্ছা। ভিতরে আসবো? নাকি বাইরেই দাঁড় করিয়ে রাখবো।"


--"না না আসুন। আপনাদের বাসা। আমি কেন আপনাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখবো।"


তুষার ভিতরে গিয়ে বিছানায় পা তুলে আয়েশ করে বসে। তারপর বিড়বিড় করে বলে,


--"হ্যাঁ আমাদের বাসা। তবে তোমার বাসা হতেও বেশি সময় লাগবে না। আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা।"


--"কিছু বললেন?"


--"কই না তো।"


--"আমার মনে হলো আপনি কিছু বলছিলেন।"


--"তুমি ভুল শুনেছো হয়তো। এখন বলো এক্সাম কেমন হলো?"


--"ভালো।"


এইটুকু বলে আনিতা চুপ করে গেলো। একটু আগে তুষারের বলা কথাটা আনিতাকে বেশ ভাবাচ্ছে। তুষার বিড়বিড় করে যা বলেছে সবটাই আনিতা স্পষ্ট শুনতে পেয়েছে। তুষারের কথার মানে বুঝতে পেরে আনিতার বুকটা ধক করে উঠলো। যদি সত্যি এমন কিছু হয় তাহলে? না না এমন কিছু হতে পারে না। এমনটা ওর ফ্যামিলি ওর সাথে কিছুতেই করতে পারে না।


আনিতার এসব ভাবনার মাঝেই তুষারের ছোট বোন এসে ওদের দুজনকে ড্রয়িংরুমে ডাকে। আনিতা আগেই উঠে চলে গেলো। আনিতার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তুষারও ড্রয়িংরুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো। 


আনিতা ড্রয়িংরুমে গিয়ে দেখে ওর ছোট চাচ্চু এসে পড়েছে। আংকেল আন্টির সাথে বসে গল্প করছেন। আনিতাকে দেখতে পেয়ে ওর চাচ্চু আনিতাকে ইশারায় ডেকে উনার পাশে বসতে বললেন। আনিতাও মাথা নিচু করে নিঃশব্দে ওর ছোট চাচ্চুর পাশে গিয়ে বসলেন। মিনিট দুয়েকের মাথায় তুষারের আম্মু উঠে কিচেনে চলে গেলেন। কিছুক্ষণের মাঝেই তিনি ট্রেতে করে সন্ধ্যার নাস্তা নিয়ে হাজির হলেন। কয়েক ধরনের খাবার এনেছেন এখানে। কেটলিতে করে চা, বিস্কুট সমুচা, চিকেন রোল আর নডুলস। সবাই খেতে শুরু করলো। আনিতা বসে ছিলো দেখে ওকে খাওয়ার জন্য বললে ও একটা সমুচা নিয়ে খেতে শুরু করে। তারপর এক বাটি নডুলস খায়। এই দুটো খাবারই ওর বড্ড পছন্দের। খাওয়া শেষে আরো কিছুক্ষণ সবার সাথে বসে আড্ড দিলো। তারপর ওঠে রুমে চলে এলো। আসার আগে বলে এলো ও ঘুমোবে আর রাতে খাবে না তাই কেউ যাতে না ডাকে।


রুমে এসে আনিতা আগে দরজা লক করে দিলো। সত্যিই ঘুমোবে ও এখন। সেদিনের পর থেকে ওর আর রাতে ঘুম হয়নি। কান্নাকাটি করতে করতেই রাত শেষ হয়েছে। আর আজ আহিয়ানের দেখা পেয়েছে ও। আহিয়ানকে স্পর্শ করতে পেরেছে ওর বুকে মাথা রাখতে পেরেছে। ওর মন এখন একদম ঠিকঠাক আছে। চোখ মেলে তাকাতে পারছে না আর। অনেকদিন যাবত না ঘুমানোর ফলে এই অবস্থা। আজ আহিয়ানের সাথে কথা হয়েছে। আজ ঘুমটা ভালো হবে। তাই লাইট অফ করে দিয়ে শুয়ে পড়লো আনিতা।

চলবে।


[ ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর গল্পটা কেমন হচ্ছে অবশ্যই জানাবেন। হ্যাপি রিডিং🥰 ]


Next part 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.