"ভালোবাসি মেঘা " (৮)
Bangla choti golpo - ভালোবাসি মেঘা (৮) - bangla love story - life story |
এমন সময় ডাক পড়ে কথার,..!
সবাইকে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে যাবার দায়িত্ব পড়েছে তার কাঁধে ,,এক প্রকার মুখ ঘুমরা করেই,সকলকে নিয়ে ড্রাইনিং টেবিলে হাজির হয় সে,,,খাবারের টেবিলে সকলেই খাবার খাচ্ছে,,শুধু খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করে যাচ্ছে কথা,,কথার খেতে ইচ্ছে করছে না,আরো কিছুক্ষণ আড্ডা দিলে হয়তো ভালো লাগতো...!!
এমন সময় খাবারের টেবিলে চেয়ার টেনে বসেন,কথার আব্বু জাহির সাহেব....খাবারের টেবিলে, নতুন নতুন সদস্য দেখে জাহির সাহেবে বেশ খুশি হন,,তাই খাবারের পাতেই ওনি সকলের সাথে ভাব জমানো শুরু করে দেন..
প্রথমেই বলে ওঠলেন....
-- মেঘা মা
মেঘা কিছুটা নড়েচড়ে বসে মৃদু হেসে উওর দেয়
-- জ্বী আঙ্কেল, কিছু বলবেন?
-- না তেমন কিছু,পড়াশোনা কেমন চলছে?
-- এই তো আঙ্কেল ভালো
-- ভালো হলেই ভালো,,মন দিয়ে পড়াশোনা করো,,,আর মাঝে মাঝে কথাকেও একটু বুঝিও যেন পড়াশুনায় মন দেয়। ও তো পড়ার নামে ঠনঠন।এই আছে এই নেই।
জাহির সাহব আর মেঘার কথপোকথনের মাঝে এবার পোড়ন কেটে বসে কথা,,মুখ কুচকিয়ে বলে ওঠে,উদাস ভঙ্গিতে বলে ওঠে,,
-- কোন লাভ নাই মেঘা,পড়ালেখার ব্যাপারটা তুই অন্তত আমাকে বুঝাতে আসিস না,তুই ভালো পড়ালেখায়,তুই পড়াশোনা কর ,আমি তো ভাই,বিয়ে টিয়ে করে জামাইয়ের টাকায় পায়ের ওপর পা তুলে খাবো আর আরামচে ঘুমাবো,,কে করে এই সব আজাইরা পড়ালেখা....!
কথাটা বলেই কথা উদাস ভঙ্গিতে বসে থাকে,,
এদিকে জাহির সাহেব কথার এই রকম কথাবার্তা শুনে অবস্ত হয়ে গেছে বিধায়,ওনি আর কিছু বললেন না,,মেয়ের দিকে এক পালক তাকিয়ে আবারো খাবারে মন দিলেন..!! তবে গোপনে একটা দীর্ঘ শ্বাসও ত্যাগ করলেন বটে,, কারণ তার বিয়ে পাগলী মেয়েকে কেমন করে বুঝাবে, জীবন অত সহজ নয়! চাইলেই সব পাওয়া যায় না,,মাঝে মাঝে তার ব্যতিক্রমও হয়।তবে ওনি মনে প্রাণে চান,ওনার মেয়ের ইচ্ছাটা পূর্ণ হোক,কারণ পৃথিবীর সকল বাবাই চায়,তার সন্তান সুখে থাকোক,,জাহির সাহেবও হয়তো সেই আবদারই করছে নিয়তির কাছে একজন বাবা হয়ে মেয়ের স্বপ্ন পূরণ দেখবেন বলে..!!
এই সবের মাঝেই শুভ কথার মাথায় চাটি মেরে, হালকা ভেঙ্গচি দিয়ে বলে ওঠে
-- হুমম,,দেখো মহারানীর শখ কত,,পায়ের ওপর পা তুলেন খাবেন। (তার পর আন্টির দিকে তাকিয়ে বলে ওঠলো)আন্টি এখনো সময় আছে এই অকর্মের ঢেকি টাকে কাজ টাজ শিখাও, নাহলে আমি হরফ করে বলতে পারি এর কোপালে দুঃখ আছে।হুহু😏
শুভ এমন কথা শুনে কথার মন কিছুটা ক্ষীণ হলো,,একটু রাগি রাগি ভাব নিয়ে বললো..
-- কি আমি অকর্মার ঢেকি?
-- হ্যা ( উদাস ভাবে উওর দেয় শুভ)
হ্যা শব্দটা শুনেই আরো দ্বিগুণ রাগে কিড়মিড় করে ওঠে কথা,,সাথে সাথে ঝাপিয়ে পড়ে শুভ ওপর, দু হাতে শুভর চুল টানতে টানতে বলে ওঠে..
-- আমি অকর্মের ঢেকি তাই না? আমার কোপালে দুঃখ আছে হ্যা? বলি একটু আগেই না আমার হাতের কপি খাইছো,, ইতিমধ্যেই ভুলে গেছো?স্বার্থবাদি কোথাকার।
কথার এমন চুল টান খেয়ে, ব্যাথায় কুড়াতে কুড়াতে শুভ বলে ওঠে,
-- আহাাা,, লাগছে তো,ছাড়,,কি করছিসটা কি ছাড়?
--নাহ্ ছাড়বো না,আগে বল কার কোপালে দুঃখ আছে?
ব্যাথায় চটপট করতে করতে শুভ বলে ওঠে...
-- দুঃখ ভাই আমার কোপালে আছে,, কারণ আমি তোকে বিয়ে করবো, so,দুঃখ না থাকলেও, দুঃখ নিজের পায়ে হেটে চলে আসবে ..!!
শুভর এমন কথায় থ হয়ে যায় সকলে,,মুখ ফোসকে কথাটা গুলো বলে পেলেছে শুভ,,শুভর এমন কথা শুনে কথা নিজেও থ হয়ে যায় ,সে কি সত্যি শুনলো? নাকি মিথ্যা? এদিকে কথাটা বলে শুভ নিজেও হা হয়ে গেছে,দুষ্টামির চলে কি বলে পেললো সে,,। এদিকে খাবারে টেবিলে উপস্থিত, কথার বাবা-মা,অভি,মেঘা আর সাথে শুভর মা,বাবা, সকলেই শুভ আর কথার দিকে তাকিয়ে আছে,,ওরা কেউই ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না,,এটা কি শুধুই দুষ্টামি নাকি দুষ্টামির মাঝে অন্যকিছু আছে...!
খাবারের টেবিলে সবাই টুকটাক কথা বললেও অভি একবারেই চুপ ছিলো,,তবে হঠাৎ করেই সেই মূহূর্তে অভি কি জানি কি ভেবে বলে ওঠলে
-- কি রে ভাই,,সব সময় সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মজা করার অভ্যাস টা তোর আর গেলো না...! একদিন দেখিস গণ ধুলাই খাবি এই দুষ্টামির জন্য..!!
কথা টা বলেই উচ্চ সুরে হাসে ওঠে অভি, অভি সাথে তাল মিলিয়ে শুভও মৃদ হাসে,,
বাধ বাকী সবাই আর এই ব্যাপার টা নিয়ে মাথা ঘামালো না,,যে যার মতো, খাবার খেয়ে রুমে চলে গেলো,,!!
শুভ খাবার খেয়ে রুমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো,রুমের কাছাকাছি আসতেই,কেউ একজন হেচকা টানে শুভ কে ফ্লোরে পেলে দেয়,শুভ আবারো ব্যাথায় কুকড়িয়ে ওঠে,,রাগে মাথা বনবন করে ওঠে ওর,,,
হাত মুঠি বদ্ধ করে ওপরে তাকাতেই.........!